স্বপ্নদোষের কারণ ও চিকিৎসা
স্বপ্নদোষ কী ?
স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয় আর ইংলিশে Night Pollution,Night Fall বা Nocturnal Emissions ও বলা হয়।
মুলতঃ শুক্রথলিতে জমা হওয়া শুক্রের চাপের কারনে। স্বপ্নে কোন নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায়, কামভাব বেশী হয়ে বীর্যপাত ঘটে। এই স্বপ্নযোগে বীর্যপাতকে স্বপ্নদোষ বলা হয়।১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সাথে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে।
আবার পুরুষদের উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে তবে এই প্রক্রিয়া সাধারনতঃ প্রতি ২ সপ্তাহে ১ বার বা সপ্তাহে ১ বার যদি হয় তা স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যের জন্য কোন ক্ষতিকর নয়। তবে সপ্তাহে ২ বারের অধিক হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
স্বপ্নদোষ কার হতে পারে :
প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের, যাদের এখনও বিয়ে হয়নি। তাদের একটা যথারীতি নিয়মে স্বপ্নদোষ হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়। এক্ষেত্রে তালাকপ্রাপ্তা নারী অথবা বিধবা কমবয়সী নারীদের উপর একটু প্রভাব পড়তে পারে। অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে একই সমানভাবে প্রভাবিত নাও হতে পারে। মুলকথা স্বপ্নদোষ সবারই হতে পারে। স্বাভাবিক Night Fall এ চিকিৎসার প্রয়োজন নাই। শুধু অতিরিক্ত স্বপ্নদোষকেই চিকিৎসার কারন হিসাবে দেখতে হবে।
স্বপ্নদোষ হওয়ার কারন কি :
প্রথমতঃ সহজ কিছু কারন উল্লেখ করছি।
- বীর্যথলিতে বীর্য বেশী জমা হলে, এর চাপে ও প্রস্রাবের বেগ বেড়ে যাওয়ায় স্বপ্নদোষ হয়।
- দূর্বল শরীরে সকালের অতিরিক্ত ঘুম, ও দিনের বেলায় ঘুম থেকে স্বপ্নদোষ হতে পারে।
- দিনের বেশীরভাগ সময়, নারীচিন্তায় মগ্ন থাকা একটি অনন্য কারন হতে পারে।
- নগ্ন নারীদের ছবি দেখার অভ্যাস, অথবা নগ্ন গল্প পড়ার অভ্যাস থেকে Night Fall বেড়ে যেতে পারে।
- বীর্যের ঘনত্ব কমে গেলেও বীর্যথলি শুক্রের চাপ বহন করতে ব্যার্থ হয়ে, Night Fall হতে পারে।
- বয়ঃসন্ধিকালে অতিরিক্ত হরমোনের ফলে স্বপ্নদোষ হতে পারে।
স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায় :
প্রতিমাসে ১ থেকে ২ বার স্বপ্নদোষ হবে বা হতে পারে, এটা অত্যান্ত স্বাভাবিক। তবে অতিমাত্রায় Night Fall হওয়া থেকে বাঁচার কিছু উপায় আছে। তা অনুসরণ করলে, Night Fall কমিয়ে আনা সম্ভব ।যেমন :
- রাতের খাবার বেশী দেরী করে না খেয়ে তারাতারী খেয়ে নেয়া।
- ডিনারের পর কিছুক্ষন হাটাহাটি করা।
- তুলনামুলক রাতে পানি কম খেলে, প্রস্রাবের চাপ কম হয়। আর তাতে বীর্যের চাপে তেমন প্রভাব পরেনা।
- ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে
- নারীচিন্তা, নীলছবি দেখার অভ্যাস,ও হস্তমৈথুন পরিত্যাগ করা।
- অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও গুরুপাক খাবার পরিত্যাগ করা।
- শারীরিক দূর্বলতা থাকলে, তার চিকিৎসা করাতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
- দূশ্চিন্তা Night Fall এর উপর প্রভাব পরে। তাই দূশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ততা দূর করতে হবে।
- রাতের ঘুম ভাল হওয়ার জন্য, ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
- প্রশান্তির ঘুমে Night Fall এর প্রভাব কমাতে পারে।
- সকাল সকাল ঘুমানো ও ভোরে জেগে উঠার অভ্যাস স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচাতে পারে।
- তবে এসব কৌশল শতভাগ কার্যকর নাও হতে পারেন। যতক্ষন না মন থেকে কুমন্ত্রনা কুচিন্তা দূর করতে না পারেন, ততক্ষন স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
- বিয়ে করলে এসমস্যা দূর করা অত্যান্ত সহজ। তাই বয়স উপযুক্ত হলে, বিয়ে করে নেয়া উচিত।
উপরোল্লেখিত পদ্ধতি গুলো মেনে চলার পরও যদি সমস্যা না কমে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নিচে বীর্যের ঘনত্ব বাড়াতে ও স্বপ্নদোষের কয়েকটি কার্যকরী Specific ওষুধের নাম ও কোম্পানির নাম দেওয়া হল আপনাদের সুবিধার্থে :
🌴ওষুধের নাম : কুশতা কলয়ী। কোম্পানির নাম : ইউনানী
🌴ওষুধের নাম :জারনাইড । কোম্পানির নাম : হামদর্দ
অথবা
🌴ওষুধের নাম :ড্যামিয়াপ্লান্ট। কোম্পানির নাম : হোমিও
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন। এতে করে উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পরার জন্য 🌷🌷।